প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে হবিগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র,তিনকোণা পুকুরপাড়স্থ এলাকায় ২০১৮ সালে সুপ্রতিষ্ঠিত
স্টুডেন্ট কেয়ার কেজি এন্ড হাই স্কুল, হবিগঞ্জ জেলার একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে হবিগঞ্জ জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা। ধন্যবাদ সবাইকে।
প্রধান শিক্ষকের বাণী
শিক্ষকতা নামক মহান পেশার সাথে সু-দীর্ঘ প্রায় এক যুগেরও অধিককাল ধরে জড়িত থেকে মানসম্মত শিক্ষাদানে,বিভিন্ন গবেষণা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে আমার নিকটতম শিক্ষানুরাগী শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতা নিয়ে একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্টুডেন্ট কেয়ার কেজি এন্ড হাই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করে থাকি। যা আজ হবিগঞ্জ জেলায় সচেতন মহলে একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে সুপরিচিত।
প্রতিষ্ঠানটিতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়। একজন শিক্ষার্থীকে যেভাবে শিক্ষা দিলে তা তার বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারবে এবং চিন্তাশক্তি সুদূরপ্রসারী হবে সেই শিক্ষা আমরা দিয়ে থাকি।
আমি নিজে সার্বক্ষণিক শিক্ষা মান নিয়ে গবেষণা করে থাকি।
ইনশাআল্লাহ সবার সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি আরও সাফল্যমন্ডিত হবে।
মোঃ নাজমুল হাসান
প্রধান শিক্ষক
সভাপতির বাণী
পড়! তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন (সূরা-আল্লাক্ব :১)। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থাকে বেগবান ও আধুনিকায়ন করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসসহ বিভিন্ন স্তরে তথ্য-প্রযুক্তি যে অবদান রাখছে তার জন্য বর্তমান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ। দেশের দ্বিমুখী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসলামী ও আধুনিক শিক্ষার বাস্তব সমন্বয় সাধন কারে সঠিক ইসলামী আদর্শের বুনিয়াদে ১৩৭৯ সালে মাদরাসাটির শুভ সূচনা করেন আমার পিতা মরহুম অধ্যাপকা মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছীন। তারপর কালের বিবর্তনে মহান আল্লাহ্র মেহেরবাণীতে আজ তা পত্র-পল্লবে সুশোভিত হয়ে বিরাট মহীরূহে পরিণত হয়েছে। যাদের প্রচেষ্টা, অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা বর্তমান অবস্থানে পৌঁছেছে এবং এগিয়ে চলেছে, বিশেষ করে গভর্ণিং বডির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, শিক্ষকম-লী, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ, তাঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতারসহিত আন্তরিক মুবারকবাদ জ্ঞাপন করছি । ইসলামী জীবনদর্শ, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, অর্থনীতি ও সমাজনীতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে মসলিম সন্তানদেরকে আদর্শ নাগরিক রূপে গড়ে তোলা, বিশেষ করে নৈতিক অবক্ষয় থেকে তরুন সমাজকে রক্ষা ও নারীকে পরিপূর্ণ দ্বীনি শিক্ষায় শিক্ষিত করে চারিত্রি উৎকর্ষ ও মূল্যবোধ তৈরীর বাস্তব উদ্যোগই হোক এ প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা -এ দোয়াই করছি আমিন।